ব্লগ সংরক্ষাণাগার

রবিবার, ১৫ মে, ২০১১

এইচটিএমএল ওয়ার্কশপ এবং টুইটবয়েজ



সবাইকে বর্তমান ঝড়ো বৈশাখ এর সাহসী শুভেচ্ছা। সব সময়-ই আশা করি আপনারা ভালো থাকুন। আশা করছি সবাই ভালো আছেন। যাই হোক আজ আপনাদের সাথে আমি শেয়ার করবো একটি সফল পথচলার বাস্তব কাহিনি। সময়ের ব্যবধানে দিনে দিনে পরিচয়, কাছে থাকা, শেয়ার করা, পথ চলা আর এভাবেই হয়তো বন্ধুত্তের সিঁড়ি বেয়ে ওঠা। ব্যাস্ত কিংবা অলস সময়ের ফাঁকে এলোমেলো কথার মাঝেই ফুটে উঠে মনের কোনে লুকিয়ে থাকা কোন ইচ্ছা।
প্নিক হতে চল্‌ল আমাদের দেখা, পরিচয়, তারপর আজ অবধি একসাথে থাকা। আমাদের আড্ডায় বিভিন্ন সময় আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকি। হঠাৎ একদিন রাস্তা পার হচ্ছি, দেখছি একটা এ্যাম্বুলেন্স ছুটে যাচ্ছে জ্ঞানশুন্য হয়ে, অবাক হয়ে দেখলাম বেঁচে থাকার জন্য মানুষের তাড়না। ঐ দিন-ই ভাব্‌লাম এমন কঠিন মূহুর্তে মানুষের প্রয়োজনের কথা, যেমন- রক্তের প্রয়জনের কথা। এই ভাবনা থেকেই হয়ত গড়ে উঠা প্রতীক্ষা-রভার্সিটিতে প্রচার করলাম, বন্ধুদের অনেক সাড়া পেলাম। নিজেদের সার্থক মনে হয়েছিল যখন অনেকের রক্তের প্রয়জনে আমাদের কাছে সাহায্য চাওয়া হল,এবং আমরা দিতে পারলাম। এখনো আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
যা হোক এমনি ভাবনার ফসল আমাদের টুইট বয়েজবলতে গেলে এর প্রথম কেন্দ্র হচ্ছে গ্রুপ স্টাডি। তারপর প্রথম জাকির খুলে বল্‌ল আচ্ছা আমরা এই স্টাডি কে আমাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সবার সাথে শেয়ার করতে পারি। একবাক্যে মেনে নিলাম, সত্যি-ই তো আমাদের এই প্রচেস্টার ধার সীমাবদ্ধ কেনো থাকবে? যদি কিছু শিখতে হয় সবাই মিলেই শিখবো।
শুরু হল টুইট বয়েজ এর স্বপ্নিল পথ চলা
আমরা অনেক কিছুই করবো করবো বলে আসলে করা হয়ে উঠেনা, হয়তো আবার অদৃস্টেরও দোষ দিয়ে থাকি, সীমাবদ্ধতা গুলোকে সামনে এনে হাজির করি। জানিনা এগুলো আমাদের সাইকোলজি নাকি অন্য কিছু? তবে আমি মনে করি নিজের ব্যাক্তিগত উদ্যেগ-ই হচ্ছে সবছেয়ে বড়।
এই সত্যটাকে ধারন করে আমরা টুইটবয়েজ গত ২০/০৪/২০১১ ইং তারিখে সাউথ্‌ইস্ট ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার ক্লাবের আয়োজনে H.T.M.L. নিয়ে একটি ওয়ার্কশপ পরিচালনা করি।
আমাদের ঘুমিয়ে থাকা সুপ্ত ইচ্ছাটাকে, আমাদের এবং উদ্দ্যেগটাকে জাগিয়ে তোলার উদ্দ্যেশ্যই ছিলো আমাদের এই ওয়ার্কশপের। প্রায় ৪৫ জন ছাত্রছাত্রির উপস্থিতিতে ওয়ার্কশপের উদ্ধোদন করেন ভার্সিটির সিনিয়র শিক্ষক ও কম্পিউটার ক্লাবের মডারেটর জনাব আশিকুর রহমান স্যার। তিনি তার বক্তব্যে কিছু গুরুত্বপূর্ন বিষয় তুলে ধরেন HTML এর প্রয়োজন সম্পর্কে।
এরপর শুরু হয় আমাদের HTML আড্ডা। সত্যি আড্ডার মতই জমে উঠেছিলো আমাদের ওয়ার্কশপ।
প্রথমে উপস্থাপনা দিয়ে শুরু করি আমি নাজমুল হাসান মেহেদী, আপনাদের কাছে BRIGHT SPACE নামে পরিচিত টেক্‌টুইটস পরিবারে।
তারপর আমাদের রুবেল অরিওন ভাই HTML এর বেসিক বিষয় গুলো, এবং একটি ওয়েব পেজ করতে গেলে, ঐ ওয়েব পেজ এ প্রান সঞ্চার করতে গেলে এর সাথে সংশ্লিষ্ট কি কি বিষয় প্রয়োজন তা খুব-ই সুন্দর, এবং সহজ সরল ভাষায় গল্পের মত উপস্থাপন করেন।
এরপর HTML এর পরিচয় পর্ব শেষে পুরো HTML এর বিষয় বস্তু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন আমাদের পরিচিত জাকির ভাই। তিনি অনেক কষ্ট স্বীকার করে দীর্ঘক্ষন যাবত সবাইকে নিয়ে ঘুরে আসেন HTML এর আপন ভূবন থেকে। গভীর থেকে গভীরে প্রবেশ করেন আমাদের জুনিয়র ভাইদের আগ্রহের এবং প্রশ্নের উত্তর দিতে ।
১ঘন্টা ৩০ মিনিটের ওয়ার্কশপ কখন যে ২.২০ মিনিটে পোঁছে গেছে তা আমরা কেউই টের পাইনি। সময় সল্পতার কারনে অনেক প্রশ্নের উত্তর করা সম্বব হয়নি, তাতে কি টুইটবয়েজ শুধু সীমাবদ্ধ কিছু সময়ের জন্য নয়, পাশে আছি সবসময় আর তাই জাকির ভাই পরবর্তিতে উত্তর গুলো যাতে পেতে পারে তার ব্যবস্থাও করে এসেছেন।
তারপর সবাইকেই সংশ্লিষ্ট স্লাইড গুলো সরবরাহ করা হয় । এভাবেই সফল আয়োজনের মাধ্যমে শেষ হয় আমাদের প্রচেষ্টা, আমাদের HTML ওয়ার্কশপ।
আমাদের উদ্যেশ্য ছিলো আমাদের পাশে যারা আছে তাদের মধ্যে এইচটিএমএল বার্তাটা পোঁছে দেয়া, আমাদের ব্যক্তিগত উদ্দ্যেগটাকে সক্রিয় করা, এইচটিএমএল পুরোপুরি শিখানো নয়। আসলে কেউই কাউকে কিছু শিখাতে পারেনা, যতক্ষন নিজে শিখবো বলে মনোবল কিংবা লক্ষ্য স্থির না করবো।
স্মৃতির মনিকোঠায় জমা থাকবে আমাদের পথচলার এমন একটি সফলতা, আর সাথে স্বর্নাক্ষরে লেখা থাকবে সেই সব নাম, যাদের সহযোগিতা ছাড়া এর কিছুই সম্বব হতনা, তারা তারাই যাদের ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাইনা। তারা হলেনঃ
-শাহ্‌রিয়ার মান্‌জুর স্যার [ বিচারক, ACM ICPC]
-জাহিদ হোসাইন জীবন ভাই (সাউথ্‌ইস্ট ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার ক্লাবের প্রেসিডেন্ট)
-কায়েস আল হাসান ভাই
-হুমায়রা জেবিক আপু
-সানি পূলক ভাই
-তূর্য ভাই
এবং আরো অনেকেই
।।
এভাবে আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতে চাই এই টুইট বয়েজ এর ছায়ায় মাথা গুঁজে, হাতে হাত রেখে, বন্ধুত্তের উচ্ছলতায়, ভালোবাসার শিতল ধারায়, এবং সপ্নজয়ের দৃপ্ততায়।
আমাদের স্লাইড গুলো পাবেন এখানে গিয়ে। 
আপনাদের ভালোবাসা, আমাদের সত্যি-ই সবসময় চরম সাহস যোগায়, প্রানে সঞ্চার করে এক তেয্যদৃপ্ততার।
সাথে থাকবেন সবসময়, আবারো বলছি আমরা সবাই একটি পরিবার, একই প্রানের ভিন্ন সত্তা।
টুইট বয়েজ সংগঠন এর পরিচালনায় একটি বাংলা টেকনলজি ব্লগিং সাইট বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়। সাইট‌টিতে ব্রাউজ করতে যেতে পারেনwww.techtweets.com.bd ঠিকানায়।
সবাই ভালো থাকবেন, ধন্যবাদ।